রাক্ষসে মাছ খাচ্ছি আমরা


নিম্নে যে মাছের ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি "রূপচাঁদা" মাছ হিসেবেই আমাদের লোকাল মাছের বাজার সহ জেলা মৎস্য  আড়তে প্রতিনিয়তই ক্রয়-বিক্রয় হয়।

এই মাছ প্রতি কেজি অনেক কম মূল্য এবং স্বাদও একটু বেশি থাকার কারণে আমাদের মত সাধারণ মানুষের নিকট অনেকটাই গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে।।। আমারও অনেকটা পছন্দের তালিকায় ছিলো এই মাছ। তবে ২০০৭ সালের দিকে এই মাছ খেয়ে আব্বা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে অনীহা জন্মে গিয়েছিলো।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই মাছকে "সামুদ্রিক রূপচাঁদা" হিসেবেই বিক্রয় করে থাকে।

এখন আসি মূল টপিকে________
নিম্নের মাছটি কোন সামুদ্রিক মাছ নয়।
এই মাছের নাম "পিরানহা"
পৃথীবিতে ২ প্রকার পিরানহা মাছ পাওয়া যায়।
১। ব্লাক বেলি পিরানহা (কালো পেট ওয়ালা পিরানহা)
২। রেড বেলি পিরানহা( লাল পেট ওয়ালা পিরানহা)

এই মাছের প্রধান আবাস্থল দক্ষিন আমেরিকার ব্রাজিল সহ আরও কয়েকটা দেশের নদীতে।

#এই মাছ একটি হিংস্র এবং রাক্ষুসে মাছ,,,,,
#এই মাছ সারা বিশ্বে মানুষ খেকো মাছ হিসেবে পরিচিত।
#রক্তের গন্ধ প্রিয় একমাত্র মাছ।
#মানুষের প্রথম আঘাতের স্থান হলো পায়ের আঙ্গুল।
#৩ ধরেণের শব্দ উৎপন্ন করার মাধ্যেমে এদের নিজস্ব একটা ভাষাও আছে।
# জলাশয়ের অন্যান মাছ সমূলে ধ্বংস করে, এমন কি ব্যাঙও বাঁচতে পারে না এর কবল থেকে।
#ক্ষুদার্থ থাকার সময় এক পিরানহা আরেক পিরানহাকেও খেয়ে থাকে।
#ধারালো দাঁত আর প্রায় মানুষের মত জিহব্বা থাকার কারণে সে তার লক্ষ্য বস্তুতে শরীরের ১০ গুন বেশি শক্তিতে কামড় দিতে সক্ষম।
#জরিপে ৩০ টি মাছ একটি হরিণকে খেতে সময় নেয় মাত্র ১ ঘণ্টা।
#এই মাছের এমন কিছু বিষক্রিয়া আছে যা আমাদের পাকস্থলি বিনষ্ট করার প্রধান হাতিয়ার।
#এক বোতল এলকোহলের চাইতেও এই মাছের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি পিস বেশি ক্ষতিকারক।
#এই মাছের চর্বি আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করে।
#এই মাছে থাকা ফসফেট আমাদের মুত্রপ্রদাহ সৃষ্টি করে।
#এই মাছ নব্য বিবাহিত নারীর বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
#ইউরিন বা প্রশ্রাবের সাথে শরীর থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম এবং রক্ত বের করে দেয়।
#এই মাছ ভক্ষন করলে মানসিক বিকারগ্রস্থতা দেখা দেয়।।
# পায়ের পাইনোরাল কর্ডে চরম ব্যথা উৎপন্ন করে এই মাছের ক্ষতিকারক পদার্থ।
#ফুসফুসের ভিতর অভ্যন্তরিন রক্তপাত ঘটায়।

আমাদের দেশে মূলত রেড বেলি পিরানহা মাছ দেখতে পাওয়া যায়।। 

কিছু অসাধু মানুষ এই মাছ আমাদের দেশে আনার পিছনে দায়ী।

এই মাছ সারা বিশ্বে, আমদানি,রপ্তানি,বাজার জাত করণ,পোনা উৎপাদন, চাষ এবং বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশ সরকার এই মাছকে ২০০৮ সালে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। এই মাছ বিক্রয়, চাষ,পোনা উৎপাদন,বিপণন সম্পর্কে কঠিন আইন আরোপ করা আছে। তবুও এই মাছ ক্রয়-বিক্রয় চলছেই। আবার আমরা অনেকেই না জেনেও এই মাছ নিয়মিত ভক্ষন করছি।

এবার আসি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে,_______
আমাদের ইসলাম ধর্মে হিংস্র প্রাণী ভক্ষন করা সম্পূর্ণ হারাম। অর্থাৎ শুকর খাওয়া যেমন হারাম ঠিক তেমনি এই মাছও খাওয়াও হারাম। কারণ মাছটি নিজের জাত এবং মানুষ খেকো।।
তাই আমরা যেন জেনে বুঝে হারাম ভক্ষন না করি।।।
আল্লাহতালা সেই সব প্রাণীকেই হারাম করেছেন যা আমাদের বডি রেইস্টেন্ডের জন্য চরম ক্ষতিকর।
আসুন আজ থেকে এই মাছ ভক্ষন করা পরিহার করি।

সারা দেশের সকল হ্যাচারি এবং বাজারে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

সঠিক তথ্য জানি এবং ঠিক সেই সঠিক তথ্য প্রচার করি,,
নিজে বাঁচি এবং পাশের প্রিয়জনদের বাঁচাই♥♥
- Ashraful Alam এর লেখা

Comments

Popular posts from this blog

করোনাভাইরাস বাংলাদেশ আপডেট শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০ #CleansolHP #ACME

ভুল জায়গায় সেক্রিফাইজ আর ভুল মানুষের সাথে কম্প্রোমাইজ আপনাকে না দিবে সুখ, না দিবে সফলতা।

বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে online এর মাধ্যমে ভর্তির আবেদন। #ভর্তির আবেদন শুরু হবে ০৯-০৮-২০২০ ইং তারিখ।